রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকায় এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, হামলা হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে। সরকার পতনের পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক পক্ষ লোক ভাড়া করে গত শুক্রবার গভীর রাতে ব্যাংকে হামলা করিয়েছেন।
গুলশান থানা-পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আশরাফ রহমান (৪৬), আশেকুর রহমান (৪১), মো. আছলাম (৪৪),মো. সোহেল (৩৫),মো. রতন ইসলাম (২৬), সৈয়দ শহিদ (৫৪), মো. হারুন অর রশিদ (৪৫), রায়হান সরকার (২৭), শরিফুল ইসলাম (৩০) ও আহম্মেদ হোসেন (৪২)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজুল হক আজ রোববার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক কারণে ব্যাংকের হামলা হয়নি। এ ঘটনা ডাকাতির চেষ্টা নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে, সেটা গুরুত্বসহ তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার পর গুলশান-২ এলাকায় ফাইন্যান্স স্কয়ার নামের বহুতল ভবনের এক্সিম ব্যাংকের (গুলশান-২) শাখায় ঢোকে একদল দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দুটি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে ফাইন্যান্স স্কয়ার ভবনের নিচে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন। ভবনের নিচে ঢোকার পরপরই তাঁরা নিরাপত্তাকর্মীদের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালান। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন এবং ভবনটি ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।
ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় ব্যাংক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেছে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদ আহমেদ বলেন, একটি ডাকাতির মামলা হয়েছে। তবে ব্যাংক থেকে কিছু ডাকাতি হয়নি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদী গুলশান এক্সিম ব্যাংকের মহিলা শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম অলিউর হাচান বলেন, এটা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হয়েছে নাকি ডাকাতির জন্য তাঁরা হামলা করেছেন, তা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসবে।