বাংলাদেশ পুলিশকে রাজনৈতিক পুলিশ না হতে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা আমাদের কথা শুনবে। আপনারা বাংলাদেশ পুলিশ হবেন। আওয়ামী লীগ পুলিশ, বিএনপি পুলিশ, জাতীয় পার্টি পুলিশ হবেন না। এটাই আমরা চাই।’
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানবন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা জনগণ কোনোদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি হতে চাই না। আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে আমরা আপনাদের (পুলিশের) কাছে যাবো। গায়েবিভাবে আমাদেরকে বাসা থেকে তুলে আনবেন, সে আইন-ক্ষমতা আপনাদের দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ডিবির কাছে থাকলে নাকি নিরাপত্তা বোধ করে। আসলে নিরাপত্তার সংজ্ঞাটা দেবেন? আমরা সংবিধানে তুলে দেবো। শিক্ষার্থীদের হেফাজতে রাখার আইননি সংজ্ঞাটা কী? শিক্ষার্থীদের আটকে রাখার ক্ষমতা কোথায় দেওয়া হয়েছে? সংবিধানের কোন আইনে আটকে রাখার কথা রয়েছে? আমরা এখানে (ডিবি গেটে) আসার আগে ছয়জন সমন্বয়ককে ছেড়ে দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা এখনো জানি না তারা পরিবারের কাছে গিয়েছেন কি না।’
যে ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তারা যেন মুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারেন। তাদের বাসায় প্রহরায় কাউকে না রাখার অনুরোধ জানান বেলার প্রধান নির্বাহী।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘আমাদেরকে যখন ইচ্ছা তুলে আনবেন, যতদিন ইচ্ছা আটকে রাখবেন, নুডলস খাওয়াবেন, পোলাও, রুটি খাইয়ে আবার পত্র-পত্রিকায় দেবেন। এগুলো কাদের টাকায় খাওয়ান?’
তিনি বলেন, ‘ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দিয়েছেন বলে আমরা খুশি হইনি। আমরা তখনই খুশি হবো যখন সব শিক্ষার্থীকে আপনারা মুক্তি দিবেন। এরপরেও খুশি আমরা হতে পারবো না। কারণ খুশি হওয়ার পরিবেশ রাখেননি। এতগুলা বাচ্চার প্রাণ কেড়ে নিয়েছেন; এই ক্ষত কোনোদিনও সারবে না। আর কোনো শিক্ষার্থীকে আপনারা আটক করবেন না। আর কোনো গুলি শিক্ষার্থী-জনতার বুকে করবেন না। সব শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তি দেবেন।’