নেপালে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৮ জন। তাদের খোঁজে কাজ করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শনিবার দুর্যোগ বিষয়ক এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকেই নেপালের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। দুর্যোগবিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছানোর কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। তারা নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বেশ কিছু নদীর পানি বেড়ে গেছে। ফলে তীর ঘেঁষে থাকা বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে যানবাহন পানিতে ডুবে গেছে।
হারি মাল্লা নামে ৪৯ বছর বয়সী এক ট্রাকচালক বলেন, মধ্যরাতে আমি যখন বের হয়েছিলাম সে সময় পানি আমার কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমার ট্রাকটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা হেলিকপ্টার এবং মোটর চালিত নৌকা দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।
ভূমিধসের কারণে বেশ কিছু হাইওয়েতে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।
কাঠমান্ডু ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা বিশ্বরাজ খাদকা বলেন, ভূমিধসের কারণে আমাদের প্রায় আটটি রাস্তার বিভিন্ন অংশ বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠমান্ডুর অভ্যন্তরে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে। জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমী বৃষ্টির কারনে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে প্রতি বছর বহু মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া গত কয়েক বছরে বন্যা এবং ভূমিধসের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছর বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নেপালে ১৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।