দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সিনেমা দিয়ে ফিরবেন কুসুম, এটা এখন মোটামুটি নিশ্চিত। তাঁর পরিচালিত সিনেমা ‘শরতের জবা’ এরই মধ্যে গত এপ্রিলে সেন্সর ছাড়পত্র হয়েছে। এর পর থেকে মুক্তির চিন্তাভাবনাও করছিলেন কুসুম। জুলাই–আগস্টে দেশের পরিস্থিতি ভালো না থাকায় মুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। ভেবেছিলেন, সেপ্টেম্বরে মুক্তি দেবেন ছবিটি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে কুসুম জানান, এই নভেম্বরে ছবিটি মুক্তি দেবেন। বললেন, ‘পরিস্থিতি যা–ই হোক, নভেম্বরে মুক্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছি। টিজার, ট্রেলার ও পোস্টার প্রকাশ পাবে।’
‘শরতের জবা’ সিনেমার শুটিং থেকে পরিচালনা, পোস্টের কাজ—এই পুরো সময়ে পরিবার থেকে সহায়তা পেয়েছেন জানালেন কুসুম।
২০০২ সালে ‘লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজনিক’ প্রতিযোগিতা দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে পেশাদার যাত্রা শুরু হয় কুসুম শিকদারের। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই অঙ্গনে যুক্ত আছেন। তবে কয়েক বছর ধরে কাজ একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন।
নিজের পছন্দ না হলে কাজে তাঁকে দেখাই যায় না। মডেলিং ও অভিনয় ছাড়া কুসুম শিকদারকে গানেও পাওয়া গেছে। তাঁর গাওয়া গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে।
এখনো হঠাৎ হঠাৎ গানে তাঁকে দেখা যায়। সর্বশেষ তাঁর গাওয়া ‘নেশা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশিত হয়েছে। মডেলিং, নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি কুসুম চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ‘গহীনে শব্দ’, ‘লাল টিপ’, ‘শঙ্খচিল’—এ ছবিগুলোতে অভিনয় করে আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী এবার ‘শরতের জবা’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন, গল্পটি তাঁর লেখা ‘অজাগতিক ছায়া’ গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
নতুন পরিচয় কতটা উপভোগ্য ছিল? প্রশ্ন শুনে কুসুম বললেন, ‘কী যে বলেন। চিন্তায় আমি শেষ। নিজে না ঘুমিয়ে, ঠিকমতো না খেয়ে অন্যদের ভালো রাখতে হয়েছে। ২০০ কলাকুশলীর বিশাল টিম। কে কী খাবে, কোথায় থাকবে, এসব দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে। পাশাপাশি অভিনয়ও করতে হয়েছে। অভিনয় করিয়েও নিতে হয়েছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে চাপটা আমার কাঁধেই ছিল।’