কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দর। বন্ধ হয়ে গেছে বিমানবন্দরটির সব ধরনের কার্যক্রম। স্থানীয় সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নাইরোবির জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ধর্মঘট শুরু হয়।
ফরাসিবার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই বিমানবন্দর অধিগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী। নাইরোবিতে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিও খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবাদে শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, ১৮৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিনিময়ে ভারতের আদানি গ্রুপকে ৩০ বছরের জন্য বিমানবন্দরটি লিজ দেওয়ার পরিকল্পনায় বিমানবন্দরের বর্তমান কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম নেয়। তারই ধারিবাহিকতায় ধর্মঘট পালন করে আসছে শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে বুধবারের ধর্মঘটে বিমানবন্দরটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
কেনিয়ার এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় নিশ্চিত করেছে, তাদের ধর্মঘট মঙ্গলবার দিনগত রাতে শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ধর্মঘট কার্যকর হওয়ার পর যাত্রীরা বিমানবন্দরটিতে তাদের লাগেজ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি করেছে, আদানির সঙ্গে চুক্তির ফলে চাকরি হারাতে হবে কেনীয় শ্রমিকদের। এর ফলে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ বাড়বে বিদেশি শ্রমিকদের।
কেনিয়ার সরকারকে এসব কথা জানিয়ে এই চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিয়ন। তবে সরকার বলছে, বিমানবন্দরটি বিক্রি করা হচ্ছে না এবং দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দরের সংস্কারের চুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
এদিকে, এর আগে বিমানবন্দর অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়ায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কেনিয়াতে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা ভারত বিদ্বেষে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।