বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারতের অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। এতে ১০টি ট্রাকে করে ছাত্র-জনতা অংশ নিয়েছে।
এরপর বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় পথসভা করবে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা। এরপর দুপুর ২টায় কুমিল্লার চান্দিনায় জুমার নামাজ ও পথসভা করে বিকেল ৪টায় কুমিল্লার টাউন হলে সার্বভৌম সমাবেশ ও বিবিরবাজার সীমান্তের দিকে পদযাত্রা করবে তারা। সন্ধ্যা ৬টায় লংমার্চে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে।
লংমার্চে ছাত্র-জনতা ‘দিল্লি না ঢাকা-ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না ইনকিলাব-ইনকিলাব ইনকিলাব’, ‘বন্যায় যখন মানুষ মরে-আবরার তোমায় মনে পড়ে’, ‘স্বর্ণা দাস মরলো কেন-খুনি মোদী জবাব দে’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লেগান দেন।
লংমার্চের শুরুতে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের কারণে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি, প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু এখন আমাদের সামনে কোনো ফ্যাসিস্ট নেই। আমরা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের দেওয়া অবৈধ সব বাঁধ ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা এই দাবিতে আকে লংমার্চ আহ্বান করেছি। ভারতের সব ধরনের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।