যাত্রা বিরতির দাবি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি স্টেশনে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ও নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন ও ট্রেন অবরোধ করেছে ছাত্র জনতা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ১১টায় উপজেলার সর্বস্তরের ছাত্র জনতার আয়োজনে তিন ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচিতে পাঁচবিবি বণিক সমিতি, নির্ভীক সামাজিক সেবা সংগঠন, ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনতা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- পাঁচবিবি আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদনীন মাহমুদ, উচাই জেরকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরহাদ আলম জুয়েল, মেহেদী হাসান, এন এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নাসরিন আকতার জুন, পাঁচবিবি বণিক সমিতির সভাপতি তাইজুল ইসলাম, সাংবাদিকে আজাদ আলী প্রমুখ।
এসময় তারা পাঁচবিবি স্টেশনে অনলাইন টিকেট সিস্টেম চালুসহ খুলনা ও ঢাকায় চলাচলকারী রুপসা ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের বিরতির জন্য দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস পাঁচবিবি স্টেশনে পৌঁছালে মানববন্ধনকারীরা ট্রেনটি আটকে দেন। পরে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় বিক্ষোভ করে রুপসা এক্সপ্রেস পৌনে তিনঘণ্টা আটকে রাখেন।
এসময় পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ে জোন এলাকায় চলাচলকারী ট্রেনগুলোর সিডিউল বিপর্যয়সহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলায়েত হোসেন ও পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তারা রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার দাবির কথা জানান।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা বিকেল সাড়ে ৩টায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ আলোচনায় বসে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানালে তারা আন্দোলন তুলে নেয়। এ বিষয়ে বিকেলে রেল কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে নিয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।