নাইমুর রহমান নামে রাজধানীর গুলশান ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকুর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান এলাকা থেকে এ মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক রাজু আহমেদ। আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সিডি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন।
সে অনুযায়ী আজ শুনানিকালে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন। রিংকুর পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জানা যায়, নাইমুর রহমান (২২) গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহাজাদপুর মেইন রোডে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। পরে বিকেল চারটার পর ৪০০ থেকে ৫০০ জন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে নাইমুর রহমানও ছিল। পরে তার বাবা ৬৪ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান, সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ।