
হারলেও সিলেটে বাংলাদেশের ‘এ’ দলের ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের শতরানের পাশাপাশি বোলাররাও দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের ১০ উইকেটের সবগুলোই শিকার করেছিলেন তিন পেসার খালেদ আহমেদ (৬/৫৯ ) ও এনামুল হক (৩/৩২) ও এবাদত হোসেন (১/৬০)। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেট ভাগ করে নিয়েছিলেন দুই স্পিনার হাসান মুরাদ ও নাইম হাসান।
কিন্তু ঢাকার চার দিনের ম্যাচে এসে উইকেট খরায় ভুগছেন স্বাগতিক বোলাররা। গত দুই দিনে ৯১ ওভারে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলাররা নিউজিল্যান্ডের মাত্র ৪ উইকেটের পতন ঘটাতে পেরেছেন। মজার খবর হলো- এর মধ্যে স্বীকৃত স্পিনারদের কেউই উইকেটই পাননি। অথচ শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া এ চার দিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দল মাঠে নেমেছে এক পেসার (খালেদ আহমেদ) ও তিন স্পিনার- নাইম হাসান , হাসান মুরাদ ও নাসুম আহমেদকে নিয়ে!
পেসার খালেদ ৩ ও পার্টটাইম স্পিনার সাইফ হাসান এক উইকেট নিলেও দুই বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ (১৭ ওভারে ৫৩ রান খরচা), নাসুম আহমেদ ( ২ ওভারে ৭৮ রান খরচা) ও অফস্পিনার নাইম হাসান (২৭ ওভারে ৪৭ রান খরচা) কোনো উইকেট পাননি।
শেরে বাংলার পিচ অন্য সময় স্পিনারদের পক্ষে থাকলেও এ ম্যাচে বলই ঘোরেনি। কোনো ডেলিবারি বিপজ্জনকভাবে লাফিয়ে কিংবা গড়িয়েও যায়নি। যেহেতু বাংলাদেশের স্পিনারদের বলে টার্ন কম, তাই উইকেটের সহায়তা না থাকায় নাইম, হাসান মুরাদ ও নাসুম বল ঘোরাতে পারেননি।
বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটার কার্টিস হেফি (৭১), নিক ক্যালি ( ৮৩*), অধিনায়ক জো কার্টার (৬২) ও ম্যাথিউ বয়েল (৪৪*)। তাদের দৃঢ়তায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭৭।
পেসার খালেদের ৩ শিকারের মধ্যে আবার দুটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। শুক্রবার মধ্যাহ্নবিরতির আগে এক পর্যায়ে খালেদের ২ বলে ফিরে যান ২ কিউই ব্যাটার কার্টিস হেফি ও ডেইল ফিলিপস। দুজনই আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
কার্টিস হেফি ৭১ রানে খালেদের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে উইকেটে দাঁড়িয়েছিলেন। খালেদ উচ্চস্বরে আবেদন করলে স্লিপ ও আশপাশের ফিল্ডাররা সেই আবেদনে শরিক হন। আম্পায়ার গাজী সোহেল সে আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙ্গুল তুলে দেন। কার্টিস হেফি সেটি দেখে হতবাক হয়ে যান। খানিক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে সাজঘরের পথে পা বাড়ান কিউই ব্যাটার।
ঠিক পরের বলে আম্পায়ার গাজী সোহেলের সিদ্ধান্তে খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করেন নিউজিল্যান্ড স্টার গ্লেন ফিলিপসের ছোট ভাই ডেইল ফিলিপস। খালেদের ভেতরে আসা বল গিয়ে লাগে কিউই ব্যাটার ডেইল ফিলিপসের থাই প্যাডে। আম্পায়ার গাজী সোহেল ঠিক আঙ্গুল তুলে লেগ বিফোর উইকেটের (এলবিডব্লিউ) সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেন।