নরসিংদীর মনোহরদীতে ঘরে ঢুকে আনিকা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের খালা পাপিয়া আক্তার (৪৫)।
সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মনোহরদী পৌর এলাকার চন্দনবাড়ি গ্রামের মনোহরদী সরকারি কলেজের পেছনে নারান্দি গ্রামের মৃত সাত্তার মাস্টারের বাড়িতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিকা নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পশ্চিম পোড়াদিয়া এলাকার শাহাজাদা নূরে আলমের মেয়ে। আহত পাপিয়া ওই বাড়ির মৃত সাত্তার মাস্টারের স্ত্রী ও নিহতের খালা।
নিহতের পরিবারের দাবি, আনিকার খালাতো বোন অর্পাকে বিয়ে করার জন্য সৌদি প্রবাসী শাহরিয়ার শাজাহান (ফারদিন) প্রস্তাব দিলে অর্পার পরিবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অর্পাকে খুন করতে বাসায় আসে ফারদিন। অর্পাকে না পেয়ে তার মা পাপিয়া আক্তারকে হত্যার উদ্দেশে চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় আনিকা এসে বাঁধা দিলে তাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানান, বিকালে দুর্বৃত্তরা বাড়িটির একটি ঘরে ঢুকে গৃহবধূ পাপিয়া আক্তার ও তার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভাগ্নী আনিকাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আনিকার মৃত্যু হয়। এ সময় আহতের ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে মনোহরদী হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি মো. জুয়েল হোসেন বলেন, ঠিক কি কারণে কে বা কারা এ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাৎক্ষণিক তা জানতে পারেনি। তবে পরিবারের দাবি অনুযায়ী ঘাতককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।