গাজীপুরের টঙ্গীতে চার দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সিজন ড্রেসেস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। ছয় ঘণ্টা ধরে শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান করছেন। এতে বন্ধ রয়েছে সড়কটির উভয় দিকের যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই পথে চলাচলকারী পথচারীরা ও যাত্রীরা
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টা থেকে টঙ্গী খাঁ পাড়া এলাকায় মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে সেখানে যান চলাচল বন্ধ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই মাস ১৫ দিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ, অতিরিক্ত শ্রমের মজুরি, তিন বছরের ছুটির টাকা দেওয়া ও প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ ইত্যাদি।
শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, কারখানাটিতে গত জুন মাসের ১৫ দিনের এবং জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বাকি রয়েছে। শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে বেতন পরিশোধের তাগাদা দিচ্ছেন কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করছে না। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কারখানার ভেতর শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল।
এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। পরে বাকি বকেয়া বেতনের দাবিতে ১৮-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকেও আরও তিন দফা দাবি যুক্ত করে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। পরে সেখান থকে খাঁ পাড়ার এশিয়া পাম্পের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (টঙ্গী জোন) মোশারফ হোসেন বলেন, কারখানার মালিক সময়মতো বেতন পরিশোধ না করায় গত কয়েক দিন ধরে কারখানাটিতে শ্রমিক আন্দোলন চলছে। সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করছেন। এ কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পৃথক দুটি দল শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।