অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া দেইর আল-বালাহ হাসপাতালের কাছে হামলার ঘটনায় আরও পাঁচ শিশু আহত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। খবর আল জাজিরার।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা চলছেই। গত বুধবার থেকে সেখানে অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১৩০ জন আহত হয়েছে।
পশ্চিম তীরের নামা কলেজে হামলার ঘটনায় অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে আরও বেশ কয়েকজন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। প্রায় ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৪ হাজার ২৯১ জন।
এর আগে মঙ্গলবার দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টানেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করেছে। যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্যে তারা এমন দাবি করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সেনা সদস্যরা গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় হামাসের একটি টানেল উন্মুক্ত করেছে এবং তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি আংশিক স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ইসরায়েলের কাছে ৩৫০টি অস্ত্র রপ্তানি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে যে পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করে তা দেশটির মোট রপ্তানিকৃত অস্ত্রের ১ শতাংশেরও কম। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সংসদে বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ ইসরায়েলের নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে দেওয়া ভাষণে জানান, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এমনসব সামগ্রী রয়েছে, যা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বর্তমান সংঘর্ষে ব্যবহার করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে যুক্তরাজ্য সমর্থন করে জানিয়ে ডেভিড ল্যামি বলেন, লাইসেন্স স্থগিত করার অর্থ অস্ত্র রপ্তানির ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা বা আংশিক নিরাপত্তা নয়। যুক্তরাজ্য এখনও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।