টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। যেভাবে হ্রদের পানি বাড়ছে, যেকোনো সময় জলকপাট খুলে পানি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে শুরু করায় কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই যাচ্ছে। গত ৫ দিনে হ্রদের অন্তত ৯ ফুট পানি বেড়েছে। এ কারণে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ১০৮ এমএসএল (মিন সি লেভেল) অতিক্রম করলে পানি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল) ফুট পর্যন্ত। আজ শনিবার বেলা দুইটায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১০৭ দশমিক ৬৩ এমএসএল (মিন সি লেভেল) ছিল।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দুইটায় কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০৭ দশমিক ৬৩ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৫ দশমিক ৮৪ এমএসএল (মিন সি লেভেল), গত সোমবার ছিল ৯৮ দশমিক ২৫ ফুট এমএসএল। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের আজ ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
গতকাল ২১৮ ও সোমবার বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২১৫ মেগাওয়াট। পাঁচ ইউনিটে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, কাপ্তাই বাঁধের পানি বেড়ে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। আজ বেলা ২টার দিকে ১০৭ দশমিক ৬৪ ফুট উচ্চতা বেড়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, যেকোনো সময় বাঁধের পানি ছেড়ে দিতে হবে।