মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট গণনা ও যাচাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে না।এক্ষেত্রে কয়েক দিন পর্যন্তও সময় লাগতে পারে।
ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোট গণনার প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তাদের ভোট প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ২০২০ সালে তিনি ভোটের ফল নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জও করেছিলেন।
ভোটগণনা কখন শুরু হবে এবং কত সময় লাগবে ?
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোট দেওয়া বন্ধ করা হবে। সম্পূর্ণ গণনা ও যাচাই করার জন্য আরও সময় লাগবে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, আনুষ্ঠানিক গণনা সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। নিয়মের কারণে এমনটি হয়।
কারা ভোট গণনা করে?
গণনার প্রক্রিয়া স্থান অনুযায়ী আলাদা হতে পারে। এটি ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ওপরও নির্ভর করে।
কিছু কাউন্টিতে ব্যালট স্ক্যানারে প্রবেশ করানো হয়। আবার কিছু কাউন্টিতে টাচ-স্ক্রিন সিস্টেম অথবা ব্যালট-মার্কিং ডিভাইসে ভোট রেকর্ড করা হয়।
ভোট গণনায় কেন দেরি হতে পারে?
গণনা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন- যদি কোনো ব্যাঘাত ঘটে কিংবা আইনি চ্যালেঞ্জ বা প্রভিশনাল ব্যালট নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
অনেক আইনি চ্যালেঞ্জ ইতোমধ্যেই দাখিল হয়েছে। এগুলো নির্বাচনের ফলাফল প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গণনার সময়সীমা দীর্ঘ করতে পারে।
ভোট পুনঃগণনা কখন হয়?
প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে পুনরায় গণনার জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে। সাধারণত, যদি ভোটের পার্থক্য খুব কম হয়, তখন পুনরায় গণনা করা হয়।
এ ছাড়া, প্রার্থী বা আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে, অথবা ভোট গণনায় কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুনরায় গণনা হতে পারে।
পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রার্থীদের ভোটের পার্থক্য কম হলে পুনরায় গণনা করা হতে পারে।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েক সপ্তাহের জরিপে দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেছে।