ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে ১০০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয় সংসদ সদস্য লি সুং-কওন।
তিনি বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস-এর ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
লি সুং-কওন জানান, এছাড়া প্রায় ১,০০০ উত্তর কোরিয় সেনা আহত হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
ক্ষয়ক্ষতির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, নতুন যুদ্ধক্ষেত্র সম্পর্কে উত্তর কোরিয় সৈন্যদের পূর্বপরিচিতি না থাকা এবং ড্রোন হামলা মোকাবিলায় তাদের দক্ষতার অভাব।
এর আগে, অক্টোবরে জানা যায় যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সাহায্য করতে ১০,০০০ সৈন্য পাঠিয়েছে। তবে তারা প্রথম কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ এবং সহায়ক কাজে যুক্ত ছিল।
লি সুং-কওন জানান, ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগ ঘটনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঘটেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলে গত আগস্টে একটি ছোট্ট এলাকা দখল করে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে যে, ড্রোন হামলা মোকাবিলার ক্ষেত্রে অদক্ষতার কারণে উত্তর কোরিয় সৈন্যরা বোঝা হিসেবে পরিণত হয়েছে। তারা ফ্রন্টলাইন অ্যাসল্ট ইউনিট হিসেবে ব্যবহার হলেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
যদিও রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়া কেউই এই সৈন্য মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের মৈত্রী ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের অসৎ প্রভাব প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে’।
উত্তর কোরিয়ার এই ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শনিবার জানিয়েছেন যে, কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয় সৈন্যদের একটি ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যা’ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং এর ভূরাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে। সূত্র: বিবিসি