যে দলে ট্রাভিস হেড থাকবেন, সে দলের কাছে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩১৫ রান টপকানো কঠিন কিছু না; তার প্রমাণ আবারও দিলেন অস্টেলিয়ার ব্যাটিংদানব। কিন্তু ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ৩৬ বল হাতে রেখে টপকে যাবে অস্ট্রেলিয়া সেটি হয়তো অনেকে ভাবেননি। মারকুটে হেড থাকার কারণেই সেটি করে দেখাতে পেরেছে অসিরা।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য ৩৬ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে বেন ডাকেট প্রথমবার ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইনিংস ওপেন করার দিনে ঝড় তোলেন উইল জ্যাকসকে সঙ্গে নিয়ে। জ্যাকস ৫৬ বলে ৬২ রান করে ফেরত গেলে ডাকেটের ঝড় অপরপ্রান্ত থেকে দেখেন হ্যারি ব্রুক।
ডাকেট-ব্রুকের ঝড়ে ৩০ ওভার খেলা শেষে ইংলিশদের স্কোরলাইনে লেখা ২ উইকেটে ২০১ রান। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো ৪০০ রানের কাছাকাছি করে ফেলবে ইংল্যান্ড।
কিন্তু এরপর ১৯ রানের মধ্যে ডাকেট-ব্রুককে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার পার্টটাইম বোলার মার্নাস লাবুশেন। ৯১ বলে ৯৫ রান করেন আউট হয়ে যান ডাকেট (১১ চার, ছক্কা নেই)। ৩১ বলে ৩৯ রানে থামেন অধিনায়ক ব্রুক। শেষ দিকে একের এক উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২ বল আগেই ৩১৫ রানে।
৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ওভারে অধিনায়ক মিচেল মার্শ ফেরেন মাত্র ১০ রান করে। এরপর তিনে নামা স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়েন হেড।
স্মিথ ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হলে তৃতীয় উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে আরও একটি জুটি করেন হেড। এই জুটিতে আসে ৬৪ বলে ৭৩ রান। গ্রিন (৩২ বলে ৩২) ফিরলে লাবুশেনকে নিয়ে ১০৭ বলে অপরাজিত ১৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন অসি ওপেনার।
১৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হেড। সহায়তা নেন ২০টি চার ও ৫টি ছক্কার। লাবুশেন করেন অপরাজিত ৭৭ রান (৭ চার ও ২ ছক্কায়)।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা ও লাবুশেন। জাম্পা ১০ ওভার বল করে খরচ করেন ৪৯ রান। আর লাবুশেন ৬ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৯ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ম্যাথিউ পটস, লিয়াম লিভিংস্টোন ও জ্যাকব বেথেল।