
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমের শেষের দিনগুলোও ভালো যাচ্ছে না আর্সেনালের। শনিবার রাতে গানারদের ঘরের মাঠ থেকেও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে এএফসি বোর্নমাউথ। ইতিহাসে এই প্রথম আর্সেনালের মাঠে জয় পেল বোর্নমাউথ।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে শুরুতে গোল করেছিল আর্সেনালই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত কামব্যাকে ২-১ ব্যবধানের জয় পায় বোর্নমাউথ।
৩৪ মিনিটে ডেকলান রাইস আর্সেনালকে এগিয়ে দেন। মার্টিন ওডেগার্ডের নিখুঁত রিভার্স পাসে দৌড়ে কেপা আরিজাবালাগাকে কাটিয়ে গোল করেন তিনি। এটি ছিল আর্সেনালের হয়ে তার ১০০তম ম্যাচে এক পরিপূর্ণ ফিনিশিং। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ১০ মিনিট পর স্কোরলাইন ২-০ করার সুযোগ পায় আর্সেনাল। কিন্তু দারুণ সুযোগ মিস করেন বুকায়ো সাকা। বল কেটে ভিতরে ঢুকে অল্পের জন্য বাইরে মারেন ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড।
এরপর বোর্নমাউথ হঠাৎ করেই দুই গোল করে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয়। ৬৭ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় আন্তোনিও সেমেনিওর লম্বা থ্রো থেকে মাথা ছুঁইয়ে বল নিচের কর্নারে পাঠিয়ে বোর্নমাউথকে সমতায় ফেরান ডিন হুইসেন।
৮ মিনিট পর কর্নার থেকে গোল করে এভানিলসন বোর্নমাউথের জন্য জয় নিশ্চিত করেন। আর্সেনাল ওই সময় হ্যান্ডবলের আবেদন করে। তবে ভিএআরে সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের পরও বল হাতে লাগার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কারণে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বোর্নমাউথ।
ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে বলেন আর্সেনাল অধিনায়ক ওডেগার্ড বলেন, ‘আমরা গোল করলাম এবং মনে হচ্ছিল আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছি। কিন্তু ওরা গোল করলো এবং আমরা খেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললাম… । দ্বিতীয়ার্ধ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এই জয়ে প্রথমবারের মতো আর্সেনালের বিপক্ষে ডাবল (দুই ম্যাচেই জয়) করল বোর্নমাউথ। ৩৫ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে দলটি। যা আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
আর্সেনাল ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলের পর টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে গানাররা। তারা যদি বাকি তিন ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট পায়, তবে শীর্ষ পাঁচ নিশ্চিত হবে এবং পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে।
লিভারপুল গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চলতি মৌসুমে আর্সেনালের শিরোপা জয়ের একমাত্র সুযোগ এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এই প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাছে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে গানাররা। অ্যাওয়ে লেগে সেই ঘাটতি পুষিয়ে তুলতে হবে মিকেল আরতেতার দলকে। সেটিই দেখায় অপেক্ষায় আর্সেনালভক্তরা।