
মালয়েশিয়া এবার একটি কৌশলগত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, যেখানে আসিয়ান, গালফ সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ও চীনের সম্মিলিত অর্থনৈতিক পরিসরকে কাজে লাগিয়ে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ প্রেস সচিব টেংকু নাশরুল আবাইদাহ আজ কুয়ালালামপুরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক দৈনিক ব্রিফিংয়ে জানান, আসিয়ান, জিসিসি ও চীনের সম্মিলিত অর্থনীতির পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে তিন অঞ্চলের জনসংখ্যা মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ বিলিয়নেরও বেশি।

তিনি বলেন, এই বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে আসিয়ান, জিসিসি ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন ও আঞ্চলিক ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে নতুন কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
আসিয়ান এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি যার মোট দেশজ উৎপাদন ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার এবং চীন আসিয়ানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, যেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৬৯৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রেস সচিব বলেন, এই ত্রিপাক্ষিক সম্মেলন আসিয়ান চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়ার একটি নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ। এর লক্ষ্য হচ্ছে আসিয়ান, জিসিসি ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও গভীর, বিস্তৃত এবং কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠা করা।

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য যেসব শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বা হবেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য ও রাস আল খাইমাহ’র শাসক শেখ সাউদ বিন সাকর আল কাসিমি এবং কুয়েতের যুবরাজ শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ।
এই ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনটি চলমান ৪৬তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে ‘অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।