দাবি পূরণের আশ্বাসে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপর দেশের কয়েকটি অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে স্টেশনে আসতে শুরু করেছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে শ্রমিক নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় কথা দিয়েছেন, আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত আমাদের বিষয়টি সমাধান করবেন। আমরা জনদুর্ভোগ চাই না। দুঃখ প্রকাশ করছি। এখন থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলাম। রানিং স্টাফ ভাইদের বলব, তারা যেন কাজে ফিরে যান।’
ট্রেন চলাচল শুরু বিষয়ে জানা যায়, রেল ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর রাজশাহী থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ধর্মঘট তুলে নেয়ার পর সকাল ছয়টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে ২৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলো।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জানিয়েছে, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ৫ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস। এরপর ৬ টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে মধুমতি এক্সপ্রেস এবং ৭টায় বনলতা এক্সপ্রেস।
যাত্রীদের ভাষ্য, মধ্যরাতে ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় অনেক যাত্রী বিষয়টি জানেন না। সেকারণে সকালের দিকে ছেড়ে যাওয়ার ট্রেনগুলোতে অনেক আসন ফাঁকা ছিল। রেলের ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল থেকেই যথা নিয়মের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচির কিছুটা হেরফের হলেও সকল ট্রেন যথা নিয়মে চলাচল করবে।
এদিকে, ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে রংপুর, বগুড়া, সিলেটসহ ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকেও। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে স্টেশনে আসতে শুরু করেছেন যাত্রীরা।