কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকের পর উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
হাসান আরিফ বলেন, ‘চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। আমরা খবর পাচ্ছি যে প্রকৃত শ্রমিক যারা, তারা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবে না, কারণ এখানে তার জীবিকা। এটা বহিরাগতরা এসে করেছেন। তাদের আপনারা (শ্রমিকরা) বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকবো। এমনভাবে তারা মিশে আছে যে তাদের আলাদা করা ডিফিকাল্ট (কঠিন) হয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকৃত শ্রমিকরা এ ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যেখানে তার জীবিকা, সেখানে তিনি (শ্রমিক) ধ্বংস করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে যাবে, তাহলে কার লাভ হবে? কাজেই শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যারা করছেন, তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে কারণে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে। তারা গ্রেফতার কিংবা আটক হতে পারেন। ৫০ জন রাস্তায় বসে পড়লে পাঁচ লাখ মানুষের অসুবিধা হবে। কাজেই তাদের সরাতে যদি বলপ্রয়োগ করতে হয়, লাঠিপেটা করতে হয়, জলকামান ব্যবহার করতে হলে আমরা সেটা করবো।’
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম ছাড়া পাচ্ছে। মানুষের মধ্যে কী মেসেজটা যাচ্ছে- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, সুইডেন আসলাম ছাড়া পাচ্ছে এটা আমি শুনিনি। তাহলে এখন দেখতে হবে কীসের জন্য ছাড়া পেল।