সুদানের মধ্যাঞ্চলীয় ওয়াদ মাদানি শহরের একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্মীদের একটি কমিটির বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, ২ দিন আগের বিমান হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয়কারী গোষ্ঠী ওয়াদ মাদানি প্রতিরোধ কমিটি। মঙ্গলবার ভোরের দিকে এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কমিটিটি বলেছে, রোববার মাগরিবের নামাজের পরপরই খার্তুমের দক্ষিণে আলজাজিরা রাজ্যের রাজধানীর একটি মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সেনাবাহিনী হামলায় ব্যারেল বোমা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াদ মাদানি প্রতিরোধ কমিটি। হামলায় নিহতদের বেশির ভাগের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
উদ্ধারকারীরা পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়া কিছু লাশ উদ্ধার করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি বাজারে ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জনের বেশি।
দেশটির সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া সেখানকার কেন্দ্রীয় বাজার এবং কাছাকাছি একটি আবাসিক এলাকায়ও সে সময় বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত চলছে। এই দুই বাহিনীর সংঘাতে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটিতে চলমান সংঘাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। সুদানের মধ্যঞ্চলের কৃষিপ্রধান আলজাজিরা রাজ্যে নৃশংস যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে ওই দুই বাহিনী। গত বছরের শেষের দিক থেকে রাজ্যটি আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা, আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ এবং ত্রাণ সহায়তা আটকে দেওয়া কিংবা লুটপাটের অভিযোগে উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিশেষ করে আরএসএফের বিরুদ্ধে আলজাজিরাসহ সুদানজুড়ে ব্যাপক লুটপাট, গ্রাম অবরোধ এবং পদ্ধতিগত যৌন সহিংসতা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।