চায়না সংস্কৃতিতে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সপ্তম মাসের পনেরো তম দিনটি তাদের জন্য বিশেষ। চীনসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বুদ্ধ ধর্মবলম্বীদের মধ্যে এ দিনটি উদযাপনে যুগযুগ ধরে আয়োজিত হচ্ছে ‘ঘোস্ট ফেস্টিভ্যাল’।চীনের বাইরে মালয়শিয়া ও সিঙ্গাপুরে প্রতি বছরই আয়োজিত হয় এ উৎসব।
উৎসবের রঙে রঙিন নানা আয়োজনে বর্ণিল এই ফেস্টিভ্যাল এ প্রতি সন্ধ্যায় মঞ্চে গান গাইতে আসেন বিশ্বের নানা প্রান্তের তারকারা। সান্ধ্য আয়োজনে গানের এ পারফরম্যান্স এর নাম গেটাই।
চলতি বছর সিঙ্গাপুরে আয়োজিত এ গেটাই শো-এর ১৬ তম বর্ষপূর্তি আয়োজনে একমাত্র বিদেশি অতিথি শিল্পী হিসেবে আমন্ত্রিত হন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাশফি। স্থানীয় তারকাদের ভীড়ে পোস্টারে তাশফিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে- কেননা তিনিই ছিলেন এবারের আসরের হেডলাইনার অর্থাৎ প্রধান শিল্পী।
বিষয়টিকে দারুণ প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তাশফি। কী করে এ আয়োজনে যুক্ত হলেন জানালেন তাও।
তিনি বলেন, আফ্রিকান মিউজিশিয়ান এলি কিপাংগা, ইন্ডিয়ায় ব্যাঙ্গালুরে গান করতে গিয়ে তার সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব। ও বেশ কিছুদিন চীনে ছিল। চীনের সংগীতাঙ্গনেও সে বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়। তার মাধ্যমেই সিঙ্গাপুরের এই উৎসবের আয়োজকের সঙ্গে পরিচয়। ২০১৯ এ প্রথম আমন্ত্রিত হই এ উৎসবে। মঞ্চে আমার গান শুনে সবাই খুব এপ্রিশিয়েট করে। এবার গেলাম হেডলাইনার হিসেবে। এটা অনেক গর্বের ব্যাপারে আমাদের সংগীতাঙ্গনের জন্যও। দারুণ রেসপন্স পেয়েছি শ্রোতাদের। আয়োজকরাও আমাকে সম্মানিত করেছেন।
উৎসবের শেষ দিনে গালা ডিনারে পারফর্ম করেছেন তাশফি। গেয়েছেন হুইটনি হিউস্টন, ক্লোড প্লে, ডুয়ো লিপা, ব্রুনো মার্স এর বেশকিছু গান পরিবেশন করেন তিনি। গান করেছেন স্থানীয় জনপ্রিয় ব্যান্ড সুপার সিক্স এর সঙ্গেও। পারফর্মেন্স শেষে তাকে ‘বিশেষ সম্মাননা’ তুলে দেওয়া হয় আয়োজকের পক্ষ থেকে।
এর আগে গত জুলাইতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফুয়াদ এন্ড ফ্রেন্ডস এর হয়ে শো করেছিলেন তাশফি। সম্প্রতি কোক স্টুডিওর ‘দেওয়ানা’ গানটি নতুন করে দারুণ জনপ্রিয়তা এনে দেয় তাশফিকে।
২০২৩ সালে সদ্য প্রয়াত ব্যান্ড কিংবদন্তি শাফিন আহমেদ তার কম্পোজিশানে প্রকাশ করেন ‘মগ্ন ছিলাম’ শিরোনামে একটি গান। চলতি বছর প্রকাশিত হয় নিজের কথা ও সুরে ‘আজ তুমি নেই’। সামনেই ফুয়াদ আল মুক্তাদির এর কম্পোজিশানে আসছে আরও একটি নতুন গান।