
রাঙামাটির সাজেকে লাগা আগুন সাড়ে চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেছে ৯৪টি রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর। আজ সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্র জানায়, আজ দুপুরে রুইলুইপাড়ার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) লাল থাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনের পাশে সাজেক ইকো ভ্যালি নামের একটি রিসোর্টে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। এ সময় আতঙ্কিত কয়েক শ পর্যটক রিসোর্ট-কটেজ থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।
সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন নেই। আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সিগারেট ও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি জানায়, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি রিসোর্ট ও কটেজ, ৩৬টি বসতঘর, ৬টি রেস্তোরাঁ ও ২০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, আগুনে অন্তত ১৪০টি রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বাঘাইহাট সেনা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খায়রুল আমিন, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। অগ্নিকাণ্ডের পর কিছু সময়ের জন্য পর্যটকদের সাজেকে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য অনিত্য ত্রিপুরা বলেন, ‘আমার একটিসহ ৩২টি রিসোর্ট পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেকগুলো বসতঘর, রেস্টুরেন্ট ও দোকানঘর পুড়ে গেছে। আমাদের ধারণা, অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, ‘হেডম্যান লালথাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনসহ প্রায় ১০০ রিসোর্ট-কটেজ, বসতঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে আমরা ধারণা করছি।