বরিশাল-মেহেন্দিগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘সুপার সনিক-৭’ লঞ্চের ইঞ্জিন বিকল হয়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে কীর্তনখোলা নদীর মাঝে আটকা পড়েছিল। খবর পেয়ে অপর একটি লঞ্চ গিয়ে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন।
তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার বিকেল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। কিন্তু বিকেলে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট ঘাট থেকে ‘সুপার সনিক-৭’ লঞ্চটি বরিশাল নৌবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে নদীর চরমোনাই এলাকায় লঞ্চের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
রিয়াদ হোসেন বলেন, পরে আমরা খবর পেয়ে লঞ্চের মালিকপক্ষকে জানাই। তারা ‘সুপার সনিক-৮’ নামের অপর একটি লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য পাঠায়। রাত ৯টার দিকে লঞ্চটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
লঞ্চের যাত্রী কাব্য বলেন, বিকেল ৫টার দিকে পাতারহাট ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। মাঝনদীতে লঞ্চটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে একটি চরে নোঙর করে। পরে রাত ৯টার দিকে একই কোম্পানির আরেকটি লঞ্চ গিয়ে উদ্ধার করে।