লিভারপুল ৪ : ১ ইপসউইচ
উলভস ০ : ১ আর্সেনাল
বোর্নমাউথ ৫ : ০ নটিংহাম ফরেস্ট
শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে অবনমন অঞ্চলের দল ইপসউইচ টাউনের লড়াই, তাও ম্যাচটা আবার লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে। এই ম্যাচে জয় তো বটেই ড্র করাটাও ইপসউইচের জন্য হতো মৌসুমের সবচেয়ে বড় ঘটনা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তেমন কিছুই হয়নি। যা অনুমেয় ছিল মাঠেও ঘটেছে তাই।
লিভারপুলের কাছে উড়ে গেছে ইপসউইচ। পয়েন্ট তালিকার ১৮ নম্বরে থাকা দলটির বিপক্ষে লিভারপুল জিতেছে ৪-১ গোলে। ‘অল রেড’দের জয়ে জোড়া গোল করেছেন কোডি গাকপো। আর একটি করে গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও দমিনিক সোবোসলাই।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থানটা আরও সুদৃঢ় করল লিভারপুল। ২২ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ৫৩। একই রাতের অন্য ম্যাচে জয় পেয়েছে ১০ জনের আর্সেনালও। উলভসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে দুই নম্বরে থাকা গানারদের পয়েন্ট এখন ২৩ ম্যাচে ৪৭।
লিভারপুল ও আর্সেনাল জিতলেও হেরে গেছে তিনে থাকা নটিংহাম ফরেস্ট। বোর্নমাউথের বিপক্ষে তাদের মাঠে নটিংহাম বিধ্বস্ত হয়েছে ৫-০ গোলে। এই হারের পরও অবশ্য জায়গা পরিবর্তন হচ্ছে না নটিংহামের। ২৩ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই থাকল তারা। আর দারুণ জয়ে বোর্নমাউথ উঠে আসল ছয়ে।
ঘরের মাঠে স্বাভাবিকভাবেই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে লিভারপুল। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দেয় তারা। লিভারপুলের আক্রমণের ঝড়ে কোণঠাসা ইপসউইচ পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। যদিও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে বসে অতিথি দলটি।
আজ শনিবার রাতে ১১ মিনিটে গোলের শুরুটা করেন সোবোসলাই। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর দারুণ ছন্দে থাকা সালাহ ৩৫ মিনিটের করেন দলের দ্বিতীয় গোল, যা সালাহর মাইলফলক গড়া গোলও বটে। এটি অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের হয়ে মিসরীয় তারকার ১০০তম গোল।
পাশাপাশি এটি লিগে চলতি মৌসুমে সালাহর ১৯তম গোল আর সব মিলিয়ে ২৩তম। এরপর ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গাকপো তৃতীয় গোলটি করে দলের জয়টাই যেন নিশ্চিত করে দেন। লিভারপুলের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে প্রথমার্ধে কোনো সুবিধাই করতে পারেনি ইপসউইচ। ২৭ শতাংশ বলের দখল রাখলেও কোনো শটই নিতে পারেনি তারা।
বিরতির পরও বদলায় ম্যাচের গতিপথ। দাপুটে লিভারপুল একের পর আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। যদিও চতুর্থ গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচে ৬৬ মিনিট পর্যন্ত। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার–আরনল্ডের অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গাকপো। ম্যাচের শেষ দিকে এক গোল শোধ করে ইপসউইচ।