
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরের উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সাজেদুল ইসলাম সবুজ ও রঞ্জ মিয়া, মেহেদী হাসান রনি ও রাফি। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রকল্পের বরাদ্দ নেয় সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অধিকাংশ বিল উত্তোলনও করেছেন সবুজ। বৃহস্পতিবার সমন্বয়ক সবুজের আহ্বানে উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কয়েজন সমন্বয়ক সবুজের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে প্রকল্প ও অর্থের বিষয় কথা বলেন। এ বিষয় নিয়ে দুটি গ্রুপে বিভক্তি দেখা যায়। উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, কেন্দ্রিয় ও জেলা কমিটির নির্দেশে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলার সব সমন্বয়কদের নিয়ে আলোচনা সভার জন্য শহীদ মিনার চত্বরে ডাকা হয়। এ সময় কয়েকজন যুবক রঞ্জ ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়ায় এবং আমি বাধা দিতে গেলে আমার ওপর হামলা করে।
তবে অপরপক্ষের মেহেদী হাসান রনি জানান, সবুজ বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে ঠিকাদার ও চেয়ারম্যানদের কাছে চাপ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণসহ সবুজের কাছে জানতে চাইলে সে আমাদের ওপর অতির্কিতভাবে হামলা করে।
রাফি জানান, সবুজ বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে নাম ভাঙিয়ে উপজেলায় প্রকল্প, নানা-অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে। সে যেন নতুন করে কোনো অনিয়ম দুর্নীতিসহ সুবিধা নিতে না পারে, সে জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকতে হবে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। তবে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।