
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৭১ রানের রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে গড়ে তোলা এই স্কোরই হলো ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
শুধু সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়েই ক্ষান্ত হয়নি, নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ও তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলকে তারা হারিয়েছে ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিলো ২৭১ রান। জবাব দিতে নেমে ফাহিমা খাতুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের হাতেই ২৮.৫ ওভারে মাত্র ৯৩ রানেই অলআউট হয়ে গেলো থাই মেয়েরা। এই দুই বোলারই থাইল্যান্ডের ১০ উইকেট সমানভাগে (৫টি করে) ভাগ করে নিলো।

জয়ের জন্য ২৭৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিটাই যা একটু খেলতে পেরেছিলো থাইল্যান্ডের। ৮.১ ওভারে ৩৮ রানের জুটি গড়ে তোলে দুই ওপেনার নাতায়া বুচাথাম ও চানিদা সুত্তিউয়ারাং। ১৭ রান করে আউট হন নাতায়। সর্বোচ্চ ২২ রান করেন চুনিদা। ১৫ রান করেন অধিনায়ক নারুয়েমল চাইওয়াই। বাকি ব্যাটাররা দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি।
জান্নাতুল ফেরদৌস ৫ ওভারে ৩ মেডেন এবং ৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৫ উইকেট। ফাহিমা খাতুন ৮.৫ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ৮০ বলে ১০১ রানে ভর করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিলো ২৭১ রান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের এর আগে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫২ রান। এবার সেটা ছাড়িয়ে গেছে তারা।
শুধু তাই নয়, জয়ের রেকর্ডও এটা। এর আগে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৫৪ রানের। সেটাও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। জুটি রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। শারমিন আখতার ও নিগার সুলতানা মিলে গড়েন ১৫২ রানের জুটি।
এর আগে এক জুটিতে বাংলাদেশের নারীরা তুলেছিলো সর্বোচ্চ ১৪৩ রান। করেছিলেন ফারজানা হক এবং শারমিন আখতার। আর তৃতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ১২৭। করেছিলেন রুমানা আহমেদ এবং শারমিন আখতার।