
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় স্থানীয় একটি বিএনপি অফিসে ও তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতরা বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে স্থানীয় পুকুর এবং দীঘি টেন্ডার নেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাতে পুঠিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া উপজেলার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির নেতা সাবেক মেয়র আল মামুন খানের লোকজন, অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি নেতা ফারুক রায়হানের লোকজন। দুই পক্ষের লোকজন পুকুর ও দিঘির টেন্ডার ডাক দেন। টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বিকেলের পর থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যার পর দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সবশেষ পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ফারুক রায়হানের একটি অফিস ছিল। সেখানে ব্যক্তিগত কারণে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।