ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটার মৃত্যুর পরই প্রশ্ন উঠেছে কে হচ্ছেন নিঃসন্তান টাটার উত্তরসূরি। শোনা গেছে, তার বেশ কয়েকজন ভাইঝি-ভাইপো লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটার নাম। তবে তাদের মধ্য মায়া টাটাই নাকি টাটা সাম্রাজ্যের সম্ভাব্য উত্তসূরী হতে চলেছেন বলে খবর উঠে এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
৩৪ বছর বয়সি মায়া রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার মেয়ে। তার ভাই-বোন লিয়া এবং নেভিলের পাশাপাশি মায়া টাটা গ্রুপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা টাটা মেডিকেল সেন্টার ট্রাস্টের বোর্ডে কাজ করেন।
মায়ার মায়ের বংশও ধনী ও প্রভাবশালী। তার মা আলু মিস্ত্রি টাটা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির বোন এবং প্রয়াত ধনকুবের পালোনজি মিস্ত্রির মেয়ে। সাইরাসের স্ত্রী তার মামি রোহিকা মিস্ত্রি ভারতের অন্যতম ধনী নারী। তিনি প্রায় ২৬ হাজার কোটি রুপির মালিক।
ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হওয়া সত্ত্বেও মায়া টাটা গ্রুপে তার কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের বেইস বিজনেস স্কুল এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক থেকে পড়াশোনা করেছেন।
টাটা ক্যাপিটালের অধীনে একটি নেতৃস্থানীয় প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড, টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ড দিয়ে মায়া তার পেশাগত যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি পরে টাটা ডিজিটালে চলে আসেন, যেখানে তিনি টাটা নিউ অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ডে থাকাকালীন মায়া ব্যবস্থাপনায় ও বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে, তিনি ২০১১ সালে রতন টাটার উদ্বোধন করা কলকাতায় একটি ক্যান্সার হাসপাতাল পরিচালনাকারী টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের অপারেশন তত্ত্বাবধানকারী ছয় বোর্ড সদস্যের একজন।