মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সুইং স্টেটে চলছে ভোটগ্রহণ। এসব অঙ্গরাজ্যে ভোটের সবশেষ তথ্যে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সুইং স্টেসগুলোয় ট্রাম্প নাকি কমলা কে এগিয়ে, তা এখনই কার্যকরভাবে বলা কঠিন। তবে তাদের মধ্যে ব্যবধান খুবই কম।
এর আগে জরিপের তথ্যে বলা হয়েছিল, কমলা হ্যারিস পেনসিলভানিয়ায় এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে আগে সমতা ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গরাজ্যটিকে নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্রে সবচেয়ে বড় পুরস্কার বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। যার কারণে কমলা এবং ট্রাম্প ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন সেখানে।
পেনসিলভানিয়ার বাইরে নেভাদা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা এবং অ্যারিজোনায় ট্রাম্প এখনও এগিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
একইভাবে উইসকনসিন এবং মিশিগানে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন কমলা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে- কখন জানা যাবে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম? সত্যি বলতে, এ বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।
বিবিসি জানিয়েছে, এক এক রাজ্যে এক এক সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ হবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ সব রাজ্যই ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে হাওয়াই এবং আলাস্কা কিছুটা ব্যতিক্রম। কারণ, সেখানে অন্য রাজ্যের আরও পরে শেষ হবে ভোটগ্রহণ। প্রথাগতভাবে, ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ভোট শেষ হওয়ার পরপরই সামগ্রিকভাবে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কে জিতছেন।
তবে কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, এই বছর দ্রুতই ফল জানা যেতে পারে। আবার কারও দাবি, বিজয়ীর নাম জানতে কয়েক ঘণ্টার পরিবর্তে কয়েক দিনও লাগতে পারে।
বিবিসি বলছে, ভোট নিয়ে আগাম জরিপের ফলও বিভ্রান্তিকর হতে পারে। কারণ, একজন প্রার্থী প্রথমদিকে ব্যক্তিভোটে এগিয়ে গেলেও, পরে পোস্টাল ভোট এবং অন্যান্য ব্যালট যোগ করা হলে অনেকসময় দেখা যায়, তাকে ছাড়িয়ে গেছেন অন্য প্রার্থী। ২০২০ সালের নির্বাচনে মিশিগানে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ট্রাম্প ব্যক্তিগত ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে গিয়েছিলেন, তবে পরে তাকে ছাড়িয়ে যান বাইডেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি মূলত কিছুটা অপেক্ষার খেলা। অর্থাৎ, বিজয়ী প্রার্থীর নাম জানতে অপেক্ষা করতে হতে পারে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত।