সাগরে বাংলাদেশি মাছ ধরার কয়েকটি ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর ছোড়া গুলিতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন জেলে। গতকাল বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীরশীলসংলগ্ন সাগরে এ ঘটনা ঘটে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, ৫৮ জন জেলেসহ ছয়টি মাছ ধরার ট্রলার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আটক করেছিল। ট্রলারগুলো মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল। পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করে। আটক ৫৮ জনকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
নিহত জেলের নাম মো. ওসমান (৫০)। আর আহত হয়েছেন রাজু (৪৫), রফিকসহ (৩০) তিন জেলে। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহত জেলের লাশ ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মোট ছয়টি ট্রলার নিয়ে সাগরের ওই এলাকায় সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন জেলেরা। এগুলোর প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ জন করে জেলে ছিলেন। গতকাল দুপুরের দিকে ট্রলারগুলো লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি ছোড়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে দুটি ট্রলারের অন্তত চার জেলে আহত হন। একপর্যায়ে সেখানে ওসমানের মৃত্যু হয়।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান ও বাজারপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গফুর আলম বলেন, নিহত জেলে ওসমান শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়ার বাচু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়ার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে।
ট্রলারের মালিক সাইফুল বলেন, গতকাল বিকেলে সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেদের ধাওয়া করে গুলি ছোড়ে। এরপর ছয়টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।