
চলে গেলেন মালায়ালাম সিনেমার কিংবদন্তিতুল্য নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার শাজি এন করুণ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। গতকাল (২৮ এপ্রিল) তিরুবনন্তপুরমে নিজ বাড়িতেই ৭৩ বছর বয়সী এ নির্মাতা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।
শাজি এন করুণ পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সাবেক ছাত্র ছিলেন। ইনস্টিটিউটটি একটি এক্স পোস্টের মাধ্যমে তাদের শোক প্রকাশ করেছে।
এতে লেখা ছিল, ‘ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, পুনে আমাদের সাবেক খ্যাতিমান ছাত্র, শ্রী শাজি এন করুণের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। একজন দক্ষ গল্পকার এবং মালায়ালাম সিনেমার পথিকৃৎ, তার কাজ ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণকে সমৃদ্ধ করেছে। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এ নির্মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর। এ রাজনীতিবিদ ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, ‘এই খবরে আমি সত্যিই মর্মাহত এবং দুঃখিত। শাজি এন করুণ ছিলেন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আপনি যদি হাফ ডজন মহান ভারতীয় পরিচালকের নাম বলেন, তাহলে তিনি তাদের মধ্যে একজন হবেন। তিনি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন।’
শশী থারুর আরও বলেন, ‘তার প্রথম ছবি, পিরাভি, যখন তিনি মাত্র ৩০ বছরের মাঝামাঝি ছিলেন, কেবল জাতীয় পুরস্কারই পাননি, কানে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তিনি আরও অনেক চমৎকার ছবি তৈরি করেছিলেন, কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল তিনি শোক, হৃদয়বিদারকতা, বেদনা চিত্রায়নের ক্ষেত্রে দক্ষ ছিলেন এবং আজ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমি তার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’
শাজি এন করুণ ১৯৮৮ সালে ‘পিরাভি’সিনেমা দিয়ে তার পরিচালনার যাত্রা শুরু করেন। ২০২৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের জন্য শাজি এন করুণকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত করা হয়। তার দূরদর্শী গল্প বলার অভিজ্ঞতা বিশ্বজুড়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সিনেমা নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করবে।