মালয়েশিয়ায় চলছে আট দিনব্যাপী ৬৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭১টি মুসলিম দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন হাফেজা মাইমুনা।
৫ অক্টোবর রাজধানী কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত কুরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
৬৪তম আন্তর্জাতিক আল-কুরআন তিলাওয়াত ও হেফজ বিভাগের প্রথম বিজয়ী পাবেন ৫২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের পুরস্কার। কুরআন তেলাওয়াত এবং হেফজ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেকে ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল পুরস্কার ছাড়াও সরকারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার রিঙ্গিত পাবে।
উভয় বিভাগেই রানার্স আপ পাবে ৩০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ২০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক সোনার মেডেল এবং বিজয়ী সবাই পুরস্কার, অংশগ্রহণের প্রশংসাপত্র এবং স্যুভেনির পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মন্ত্রী (ধর্ম বিষয়ক) দাতুক মোহাম্মদ নাঈম মোখতার।
হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইতে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে হাফেজা মাইমুনা।
হাফেজা মাইমনার বাবা মনিরুজ্জামান শরীফ জানান, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ৬৪তম কুরআন প্রতিযোগিতায় হেফজ বিভাগে অংশগ্রহণ করেছে। ৭ অক্টোবর ছিল তার পার্টিসিপেশন। আলহামদুলিল্লাহ সে ভালো করেছে। তিনি আশাবাদী মাইমুনা দেশের সম্মান বয়ে আনবে। মনিরুজ্জামান শরিফ দেশবাসী এবং মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন মাইমুনার জন্য।
‘আল-ফালাহ পেমাকু মালয়েশিয়া মাদানী’, থিমযুক্ত ৬৪তম কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ৭১টি দেশের ৯২ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। হিফজ বিভাগ ৩৯ জন ও তিলাওয়াত বিভাগে ৫৩ জন এই দুই ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে।
আগামী ১২ অক্টোবর, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন দেশটির রাজা ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং সুলতান ইব্রাহিম এবং রানী পেরমাইসুরি আগোং রাজা জারিথ সোফিয়াহ।