
অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদে মালয়েশিয়ায় চলছে ইমিগ্রেশনের সাঁড়াশি অভিযান। চলমান এ অভিযানে আটক হচ্ছেন অসংখ্য অভিবাসী। চলতি বছরের ২ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪৬ হাজার ৭৯০ জনকে চেক করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়েছে ১৯ হাজার ৩৬১ জনকে। এ সংখ্যায় কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন তা জানা যায়নি।
একই সময়কালে ৪৪৮ জন নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা অবৈধভাবে অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত।
দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট বলছে, অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদে আইন প্রয়োগকারী উপাদানগুলির উপর মনোযোগ দিচ্ছে, বিশেষ করে সেইসব স্থানে যেখানে অবৈধ অভিবাসীদের আধিপত্য বিস্তার করছে।
জেআইএমের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন যে, তার বিভাগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (পিবিটি) এবং রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশসহ (পিডিআরএম) অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
জাকারিয়া ব্যাখ্যা করেন, কোনো আপস ছাড়াই অভিযান ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুর জেআইএম ঈদুল ফিতর উদযাপন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকালে পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, আমার বার্তা হলো- আমি এ বছরটিকে ইমিগ্রেশন বিভাগের জন্য একটি প্রয়োগের বছর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখি এবং আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রমের ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেব। বিদেশিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, বিশেষ করে কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গরের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে কেলানটান ইমিগ্রেশন তিনটি জেলায় অভিযান চালিয়ে ৩২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের কোটা ভারু, টুম্পাট এবং মাচাংয়ের আশেপাশে ১৬ জন এনফোর্সমেন্ট অফিসারের সমন্বয়ে সুইপ, সার্চ এবং কালেক্ট নামে অভিযান চালানো হয়।
কেলানটান ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ খান মোহাম্মদ হাসান বলেন, অভিযানটি চালানো হয়েছিল- যেখানে বিদেশিরা ঘনীভূত ছিল সেই সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে।
অভিযানে ২০ থেকে ৫৫ বছর বয়সি ১৮ জন বাংলাদেশি, থাই ৩, মিয়ানমার ৩, ইন্দোনেশিয়ান ৮ নাগরিক ।
আটক অভিবাসীদের বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকা, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা এবং তাদের ভিজিট পাসের শর্ত লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আরও তদন্তের জন্য তানাহ মেরাহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের আটক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ।