জাল নথিপত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেয়ায় নির্মাণ ঠিকাদার কোম্পানির এক ম্যানেজারকে ৪০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করেছে দেশটির একটি আদালত। তবে, জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দায়রা আদালতের বিচারক রোসলি আহমাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
ঠিকাদার কোম্পানির ৪৬ বছর বয়সি ওই ম্যানেজারের নাম আং বাক পেই।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই পুত্রাজয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শ্রম বিভাগের কাছে ই-কোটা আবেদন করেন আং বাক পেই। সে সময় তার কোম্পানি স্টার ডোমেইন রিসোর্সেস এসডিএন বিএইচডি এবং মোনাশ ইউনিভার্সিটি সানওয়ে ক্যাম্পাস মালয়েশিয়ার যৌথ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা পরিষেবা প্রদানের একটি জাল চুক্তি ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তিনি স্টার ডোমেইন রিসোর্সেস এসডিএন বিএইচডি এবং ওএসকে ট্রাস্টিজ বেরহাদ সাইট: অ্যাক্সিস বিজনেস পার্কের যৌথ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মধ্যে একই জাল চুক্তি ব্যবহার করেছিলেন মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকের কোটায় আবেদন করার জন্য।
দুটি অপরাধই ২০২২ সালে পুত্রজায়ার ফেডারেল গভর্নমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সেন্টারের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, কমপ্লেক্স ডি-তে সংঘটিত হয়। পরে কোম্পানিটি মালয়েশিয়ার জাতীয় শ্রম বিভাগ, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯৮০ জন বিদেশি শ্রমিকের কোটা আবেদন করে এবং ২০২২ সালের ২৬ জুলাই ৯৮০ জনের কোটা অনুমোদন দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্টার ডোমেইন রিসোর্সেস এসডিএন বিএইচডির অপারেশন ম্যানেজার আসামি বাংলাদেশ থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য শর্তসাপেক্ষে অনুমোদনপত্র পেতে ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জনশক্তি বিভাগের (জেটিকে) পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি ই-কোটার আবেদন জমা দিয়েছিলেন।
দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় এবং একই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬৫ ধারায় সর্বোচ্চ দুবছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর ফাতিন ফারহানা ইসমাইল অভিযোগ পরিচালনা করেন এবং অভিযুক্তের পক্ষে ওয়ান শাহরিজাল ওয়ান লাদিন আইনজীবী হিসেবে ছিলেন।