এ বছরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে হামলা ও সহিংসতার উদ্বেগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এরই মধ্যে আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়্যার, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, ওরেগন, পেনসিলভেনিয়া, টেনেসি, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল গার্ডের সেনা যেকোনো মুহূর্তে মোতায়েনের জন্য ‘স্ট্যান্ড বাই’ অবস্থায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগে আছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ জন্যই ভোটের দিন ও ভোটের পরে নিরাপত্তা জোরদার করতে তারা বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
সাত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ফলই নির্ধারণ করবে প্রেসিডেন্ট কে হবেন-এ বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। এ কারণে এসব অঙ্গরাজ্যকে বাড়তি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে মার্কিন প্রশাসন।
এমনই এক দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নেভাদা। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের সমর্থকরা সেখানে বিক্ষভে ফেটে পড়েছিলেন। নেভাদার লাস ভেগাসের ভোট তালিকাভুক্ত করার কেন্দ্র (টেবুলেশন সেন্টার) ঘিরে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। নেভাদার গভর্নর জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমিত আকারে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত ৬০ সদস্যের একটি দল সেখানে অবস্থান করছে।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের মারিকোপা কাউন্টি ভোট তালিকাভুক্ত কেন্দ্রে একই ধরনের নিরাপত্তামূলক বেড়া তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালে এই এলাকায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলতে নিরাপত্তা মজবুত করতে কোনো কোনো ভোটকেন্দ্র ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে।
সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলায় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেখানে ড্রোন ও স্নাইপার নিয়ে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। মারিকোপা কাউন্টির পুলিশ কর্মকর্তা রাস স্কিনার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রের ওপর নজর রাখবেন। এ কাজে তারা ড্রোন ব্যবহার করবেন।
সহিংসতা দেখা দিলে তা মোকাবিলার জন্য স্নাইপার প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া মোতায়েনের জন্য বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যও প্রস্তুত থাকবে।
অ্যারিজোনার নির্বাচনী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিক্ষোভ বা সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ থেকে অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুল ও গির্জা এবার ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না।