পালিয়ে যাওয়া হাসিনা ভারতে গিয়ে অন্তত এক ডজন বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে টেলিফোনে কথা বলতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে- প্রধানমন্ত্রী আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক না।
★ হাসিনা পরে যে কোন একজন মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে- আপনি একজন শরনার্থী। আপনার সাথে সরকারের কেউ দেখা করলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উপর তা প্রভাব ফেলবে।
★ তারপর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন নিম্ন সারির কর্মকর্তা হাসিনার সাথে দেখা করলে হাসিনা তাকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি তা মুখের উপর প্রত্যাখ্যান করেন।
★ হাসিনা আরো একটা অনুরোধ করেন যে- তাকে যেন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো না হয় এবং গ্রেফতার করা না হয়।
ভারতের সর্বদলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এক সভায় তার এই অনুরোধ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে- হাসিনাকে গ্রেফতার করা হবেনা এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতেও তুলে দেওয়া হবেনা।
★ হাসিনা একটি নিরাপদ দেশ খুঁজে নিয়ে সেখানে চলে যেতে বলেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এবং এজন্য তাকে একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে (প্রকাশ করা হয়নি)। তাকে অস্থায়ীভাবে ভারতে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
★ বৃটেন ও বেলারুশ সরকার হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। (আমেরিকা সরকার আবেদন করার আগেই তার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে)
★ হাসিনা ভারতের উত্তর প্রদেশের হিনদন সামরিক বিমান ঘাটতি অবস্থান করছেন। হাসিনা দর্জি সেখানকার অফিসারের কাছে অনুরোধ করেছেন যে- তাকে যেন এমন একটি দেশে আশ্রয় নিতে (আবেদন ও অফিসিয়াল কাগজপত্র তৈরিতে) সাহায্য করা হয় যেসব দেশে বাংলাদেশীদের সংখ্যা খুব কম।
তথ্যঃ তিনটি ভারতীয় গণমাধ্যম।