পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি মারা গেছেন। কঠোর হাতে দেশ পরিচালনা করেছিলেন তিনি এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাকে প্রায় ১৬ বছর জেলও খাটতে হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, স্থানীয় সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী লিমায় নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
ফুজিমোরির মেয়ে কেইকো ফুজিমোরি জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, গত আগস্টে জিহ্বায় ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ করার পর থেকেই ফুজিমোরির শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হতে থাকে ।
গত বৃহস্পতিবার শেষ বারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ফুজিমোরিকে। এদিকে ফুজিমোরিকে যারা ভালোবাসেন তারা যেন তার শেষকৃত্যে অংশ নেন সেজন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেইকো ফুজিমোরি।
ফুজিমোরি ছিলেন একজন প্রাক্তন কৃষি প্রকৌশলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ফুজিমোরি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে পেরুর ক্ষমতায় ছিলেন ফুজিমোরি।
১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে পেররু সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার অপব্যবহার, দুটি গণহত্যার ঘটনাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। এসব অপরাধের বিচারে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। তিনি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে কাটানোর পর গত ডিসেম্বরে মানবিক বিবেচনায় মুক্তি পান।
ফুজিমোরির মেয়ে তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার পর থেকেই সমর্থকরা তার বাড়ির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। তার সন্তান কেইকো, হিরো, সাচি এবং কেনজি একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘ যুদ্ধের পর আমাদের বাবা, আলবার্তো ফুজিমোরি এইমাত্র ঈশ্বরের কাছে চলে গেছেন। তারা বলেন, আপনারা যারা তাকে ভালবাসেন তার আত্মার প্রশান্তির জন্য আমাদের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নিন।