বন্যা ও বৃষ্টির বিপদ অবশেষে কমতে শুরু করেছে। তবে গতকাল শুক্রবার থেকে গরম বেড়ে গেছে। দেশের বেশির ভাগ জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক দিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। আজ শনিবারও এমন গরম থাকতে পারে; আর বৃষ্টি আরও ঝেঁপে নামতে দুই–তিন দিন সময় লাগতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের উজানে ও দেশের ভেতরে আগামী দু–এক দিন বৃষ্টি চলবে। তবে তা খুব বেশি পরিমাণে হবে না। তবে সোমবার থেকে বৃষ্টি আবারও বাড়তে পারে। টানা কয়েক দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। তবে এতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা নেই। কারণ দেশের সব নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে চলে গেছে। তা আপাতত বেড়ে বন্যার আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আজ শনিবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি চলতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এই সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি কমে গেছে। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে মৌসুমি বায়ু আবারও শক্তি অর্জন করতে পারে। এতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে, যা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল শনিবার দেশের বেশির ভাগ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।
অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি কম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে ২৭ মিলিমিটার। চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ছয় মিলিমিটার। দেশের বাকি এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। এ ধরনের আর্দ্রতায় গরমের অনুভূতি বেশি হয়। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার একই ধরনের গরমের কষ্ট অনুভূত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল শুক্রবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের সব নদ–নদীর ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১৬টিতে পানি বেড়েছে। বাকিগুলোতে কমছে। সব কটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।