একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, জুলাই বিপ্লবের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নায়ক ধরে নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। সেখানকার কনসার্টে গর্বের সঙ্গে গাইতে যান শিল্পীরা। সম্প্রতি দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিল্পী আহমেদ হাসান সানি। বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে আর গাইবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্বুদ্ধ করতে, কিংবা বন্যাদুর্গতের জন্য তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রেখেছেন সংগীতশিল্পীরা। তাদের অন্যতম তরুণ শিল্পী আহমেদ হাসান, শ্রোতা পরিসরে যিনি সানি নামে পরিচিত। তবে ঢাবি ও জাবির ভেতরে দুজনকে পিটুনি দিয়ে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমেও উঠেছে নিন্দার ঝড়। এর মধ্যে সানি ঘোষণা দিয়েছেন, এ দুই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঢাবি ও জাবিতে গান করবেন না তিনি।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সানি লিখেছেন, ‘এ দুই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি আর ঢাবি ও জাবিতে গান করতে বা এমন কোনো কাজে যেতে চাই না। একজন শিল্পী হিসেবে এটা আমার বিবেকের প্রশ্ন। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে বুধবার চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে আবাসিক ছাত্ররা। অন্যদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থীর হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে প্রায় সর্বস্তরের মানুষ। ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন শিল্পীরাও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরব ছিলেন সানি। সেসময় ‘গণদাবি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন তিনি। তার গাওয়া পরিচিত গানগুলোর মধ্যে ‘শহরের দুইটা গান’, ‘হয়তো আমরা’ অন্যতম। নিজের লেখা গানের পাশাপাশি কবি আল মাহমুদ ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাকেও গানে রূপ দিয়েছেন তিনি।
গান ছাড়াও সানি বিজ্ঞাপনচিত্র বানান, করেন অভিনয়। তানিম নূর পরিচালিত সিরিজ ‘কাইজার’ ও আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ নাটকে দেখা গেছে তাকে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম ‘ফরগেট মি নট’-এ ‘কেমনে কী’ গেয়ে প্রশংসা পেয়েছেন সানি।