ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে আটদিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল গোমতী নদীর পানি। মঙ্গলবার রাতে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে পানির স্তর। এতে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে গোমতী। তবে নদীর পানি অব্যাহত প্রবেশ করছে বুড়িচং উপজেলায়। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যার পানি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোমতীর বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে কিছুটা হলে গোমতী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২২ আগস্ট রাতে বুড়িচং এলাকায় গোমতীর বাঁধ ভাঙার ফলে শুক্রবার সকাল থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গোমতী পানি। উজানে বৃষ্টি না হলে অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বুড়বুড়িয়া এলাকায় ধসেপড়া গোমতী বাঁধ ক্রমেই প্রশস্ত হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২০০ মিটার প্রশস্ত হয়ে নদী থেকে পানি বের হয়ে বুড়িচং এবং ব্রাহ্মণপাড়ায় পানির পরিমাণ বাড়ছে। গোমতীর পানি জমিন লেভেল না হওয়া পর্যন্ত দুই উপজেলায় পানি আরও বাড়তে পারে।
এরআগে মধ্যরাতে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী বাঁধের একটি অংশ ধসে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এতে শনিবার সকাল পর্যন্ত বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।