বৈরী আবহাওয়া ও ভারত থেকে আসা ঢলে দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আরও দুটি নদীর পানি।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বেশকটি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরমধ্যে সবশেষ বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও ভাটায় তা আবার নেমে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা নদীর পানি ৭৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনার পানি ৯২ সেন্টিমিটার, ভোলার খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে ১২টি নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই।