
বকেয়া বেতনসহ বেশকিছু অভিযোগের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করা বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানে পৌঁছেছে মালয়েশিয়ার গ্লাভ মোল্ড প্রস্তুতকারক মেডিসিরাম এসডিএন বিএইচডি। ভবিষ্যতে কর্মীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি অভ্যন্তরীণ টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। এই টাস্কফোর্স কর্মীদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
শনিবার (২৪ মে) কোম্পানির চেয়ারম্যান আরুমুগাম সুপ্পিয়াহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কর্মপরিবেশ এবং মালয়েশিয়ায় আসার আগে বাংলাদেশি এজেন্টদের কাছে কর্মীদের পরিশোধ করা নিয়োগ ফি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরুমুগাম আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষই এখন সকল অংশীজনদের সর্বোত্তম স্বার্থে এবং আমাদের ব্যবসার লাভজনক ও অর্থনৈতিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কর্মীরা মালয়েশিয়ায় আসার আগে বাংলাদেশি এজেন্টদের কাছে পরিশোধ করা নিয়োগ ফি ফেরত দাবি করছিলেন। যদিও মেডিসিরাম প্রাথমিকভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছিল, ১২ মাসের মধ্যে কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের প্রস্তাবের কারণে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়।
প্রায় ১৮০ জন বাংলাদেশি কর্মী বাংলাদেশি এজেন্টদের কাছে দেয়া চাঁদা এবং অমীমাংসিত পাসপোর্ট ও ভিসা সমস্যার প্রতিবাদে ৬ মার্চ ও ১৮ মার্চ দু’দফায় ধর্মঘট করেন।
আরুমুগাম জানান, কোম্পানি এখন প্রত্যেক কর্মীকে আট মাসের মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে, যদিও মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী এটি বাধ্যতামূলক নয়।
তিনি আরও বলেন, কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ জানানোর পরিবর্তে ইন-হাউস টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তাদের কাজের ও জীবনযাত্রার অবস্থার বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে সম্মত হয়েছে, যাতে গঠনমূলক আলোচনা এবং সময়োপযোগী সমাধান নিশ্চিত করা যায়।
এদিকে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কোম্পানি এবং বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে সংলাপের সুযোগ করে দেয়ার জন্য অভিবাসী অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরুমুগাম।
তিনি স্বীকার করেছেন, গত সপ্তাহে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে এবং কোম্পানি এই বিরোধজুড়ে কিছু ব্যক্তির অনুপযুক্ত কাজ পর্যবেক্ষণ করেছে বলে আমরা মনে করি, তবে আমরা আমাদের নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে শুরুতেই এই পরিস্থিতি কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে আমাদের নিজস্ব ত্রুটিগুলো বিনীতভাবে মেনে নিচ্ছি।