সম্প্রতি পুলিশের ২৫২ উপ-পরিদর্শকের (এসআই) অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৃতীয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি৷
কিছুক্ষণ আগে পুলিশ একাডেমি থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে ২৫২ জন উপ-পুলিশ পরিদর্শককে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে৷ কোন ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শৃঙ্খলা একটা বড় ধরনের সংজ্ঞা৷ এর পরিধি ব্যাপক৷ কাকে কোন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সেটা একাডেমি ভালো বলতে পারবে৷ আমি তাদের এই প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি জানি না৷ এই সংখ্যাটা পূরণের৷ জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি৷ তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এ নিয়োগ সম্পন্ন করব৷
এটা আইন-শৃঙ্খলার জন্য বড় ধাক্কা কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বড় কোনো ধাক্কা নয়৷
তাদের এক ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, সে বিষয় আমলে নিয়েই এই অব্যাহতি কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বের করা হয়েছে৷ এর চেয়ে বেশিও বের হয়৷ অনেক সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য পুরো কোর্সও বের করে দেয়া হয়৷ ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ নয়৷ এখানে তো সংখ্যা কম৷ যদি দেখা যেতো পুরো ব্যাচের ভিতর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকে তাহলে পুরো ব্যাচকেও অব্যাহতি দেয়া হয়৷ ডিসিপ্লিন বিষয়টা অনেক বড় সেটা আমরা ব্যাখ্যা করতে পারব না৷ এখানে তাদের অব্যাহতির বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই৷ এখানে যারা একাডেমিক ইন্সট্রাকটর আছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন৷
অবৈধ অস্ত্রের উদ্ধার অভিযান চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কি পরিমান অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সে সংখ্যাটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ যদিও আমরা সংখ্যাটা এখানে বলব না৷ একেকটি বাহিনী উদ্ধার অভিযান করছে৷ পুলিশ ব্রিফ করলে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হবে৷
তিনি বলেন, আমরা শুধু থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করছি না৷ অন্যান্য অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করছি৷ আইজিপি এখানে বলেছেন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে৷ কিন্তু অবৈধ অস্ত্রের পরিমাণ তো আমাদের জানা নেই৷
উপদেষ্টা বলেন, আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি৷ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আরও সচেষ্ট হতে হবে৷ অপরাধী ও আন্দোলন সমাবেশে উসকানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করা হতে পারে৷ বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে রাস্তায় সমাবেশ না করে দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত একটি কমিটি সরকার করে দিয়েছে৷ ওই কমিটির সঙ্গে তারা আলোচনা করতে পারবে৷ রাস্তাঘাটে সমাবেশ করতে গেলে যানজটসহ নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়৷ এতে সবাই ভুক্তভোগী হয়৷ জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগ মোড়ের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা সমাবেশ করলে জনভোগান্তি অনেকটা কমবে৷ এ জন্য সবাইকে আমি রিকোয়েস্ট করবো শাহবাগের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবাই ব্যবহার করুন৷