বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আজ শুক্রবার ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
চলতি বছর মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে। দেশটিতে মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকা এমভিএ-বিএন পৌঁছানোর পর ডব্লিউএইচও এই টিকার অনুমোদন দিল।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বিবৃতিতে বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকার প্রাথমিক অনুমোদন ভাইরাসজনিত রোগটি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এখন আমাদের টিকা সংগ্রহ-বিতরণে গতি বাড়াতে হবে। এই রোগের সংক্রমণ, বিস্তার ও প্রাণহানি ঠেকানোর জন্য যেসব স্থানে টিকা এখন সবচেয়ে জরুরি, সেসব স্থানের মানুষ যাতে সবার আগে টিকা পান, আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে।’
ডব্লিউএইচওর প্রাথমিক অনুমোদনের অর্থ এখন মাঙ্কিপক্সের এই টিকার মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি যাচাই করে দেখা হয়েছে। সংস্থাটির প্রাথমিক অনুমোদন থাকায় এই টিকা জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা সংগ্রহ করতে পারবে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্বল্প আয়ের দেশগুলো নিজেরা মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি যাচাই না করে দ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে পারবে।
এ বছর কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। গত জানুয়ারি থেকে দেশটিতে প্রায় ২২ হাজার মানুষের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মাঙ্কিপক্সে প্রাণ হারিয়েছেন ৭১৬ জন।
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পর আফ্রিকার দেশগুলোতেও মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। পরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর ভাইরাসটির নতুন ধরন ক্লেড১ বি বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মাসে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিয়ে আন্তর্জাতিক জরুরি সতর্কতা জারি করে ডব্লিউএইচও। ভাইরাসটি মোকাবিলায় এবার সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে প্রথম মাঙ্কিপক্স টিকার অনুমোদন দিল।