সাইফ আল রুবেল, কুয়েতপ্রবাসী
বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান প্রবাসীদের। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু এত কিছুর পরও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা থেকে প্রবাসীরা বঞ্চিত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমান ই–পাসপোর্টের জটিলতা।
প্রবাসে পাসপোর্ট আমাদের পরিচয় বহন করে। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন প্রবাসীদের পরিচয় বহন করে না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমাদের জন্মনিবন্ধন এবং এনআইডির সঙ্গে পাসপোর্টের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে মিল নেই, নাম, জন্মতারিখ গরমিল রয়েছে, যার কারণে প্রবাসীরা ই–পাসপোর্ট আবেদন করতে পারছে না।
অন্যদিকে আগের এমআরপি পাসপোর্ট আবেদন সুবিধা আস্তে আস্তে শিথিল করে দিচ্ছে, যার কারণে প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। কেননা পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকার কারণে অনেক প্রবাসীই আকামা নবায়ন করতে পারছে না, অনেক প্রবাসীর দাবি, পুরোনো পাসপোর্টের ডেটা দিয়ে যেন নতুন ই–পাসপোর্ট নবায়ন আবেদন করার সুযোগের করে দেওয়া হয়।
কারণ, তাদের দাবি যৌক্তিক। প্রবাসীদের বর্তমান পাসপোর্ট অনুসারে ই–পাসপোর্ট করার জন্য উদাত্ত আহ্বান রইলো। এর ফলে সাধারণ প্রবাসীরা অনেক ঝামেলা ও হয়রানি থেকে রেহাই পাবেন। পরে এই ই–পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশে এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সংশোধনের সুযোগ ব্যবস্থা করা হলে অনেক সমস্যা থেকে প্রবাসীরা রেহাই পাবেন, এমনটি অনেকে মনে করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতেরা আলোচনা বা অবহিত করলে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা উপকৃত হবেন। বিষয়টি যেন ভেবে দেখে আমাদের বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রদূতদের কাছে এমনটাই দাবি প্রবাসীদের।