পাসপোর্টসহ ইতালির ভিসা দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন দেশটিতে গমনেচ্ছুরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গুলশানের বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন ভিসা প্রত্যাশীরা। ইতালি এম্বাসিতে আটকে থাকা ২০২৩-২০২৪ সালের সব পাসপোর্ট ভিসাসহ ফেরত দেওয়ার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনকারীরা জানান, ইতালির ভিসার জন্য ভিএফএস গ্লোবালে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর বলা হয় তিন মাসের মধ্যে ফলাফল জানানো হবে। কিন্তু তিন মাস পার হওয়ার পর ভিএফএসে যোগাযোগ করলে তারা বলে অনলাইনে চেক করতে। এ ছাড়া তারা আর কোনো উত্তর ভিসা প্রত্যাশীদের দেয় না।
এভাবে করতে করতে বছর পার হয়ে গেলেও না পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, না ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ৬৫ হাজার পাসপোর্ট জমা রয়েছে। সেজন্য ভিসা প্রত্যাশীরা আজ একত্রিত হয়ে ইতালি দূতাবাসের কাছে দাবি জানাচ্ছে ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার জন্য।
মানববন্ধনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি ইতোমধ্যে ইতালি দূতাবাসে গিয়েছে। দূতাবাসের সংশ্লিষ্টদের কাছে আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া তুলে দেওয়া হবে।
পরে এ নিয়ে দূতাবাসের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতি বলা হয়েছে, সকালে দূতাবাসের সামনে আন্দোলন করে কয়েকশো বাংলাদেশি। এর মধ্যে কয়েকজন আবেদনকারীর সঙ্গে দূতাবাসে ডেপুটি হেড অব মিশনের সাক্ষাৎ করানো হয়েছে।
এসময় আবেদনকারীরা কিছু অনুরোধ করেছেন। তবে ইতালি দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের পাঁচ মাস অপেক্ষা করার কথা বলা হয়। কিন্তু এতে আন্দোলনকারীরা সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না এলে আন্দোলন থেকে সরে যাবেন না।
বৈঠকে ইতালিতে কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে চলমান বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যা প্রদান করেছে দূতাবাস। যদিও এর আগে আবেদনকারীদের কোনো মধ্যস্থতাকারীদের অর্থ প্রদান কিংবা বিশ্বাস না করতে অনুরোধ জানায় দূতাবাস। সেসময় আবেদনকারীদের জাল বা মিথ্যা নথি উপস্থাপন না করার জন্যও সতর্ক করা হয়
বিবৃতিতে
দূতাবাস বলছে, দুর্নীতি এবং জাল নথি বা বিবৃতি তৈরি করা ইতালীয় এবং বাংলাদেশি উভয় দেশের আইনে গুরুতর অপরাধ। এর আগে ঘটা এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ইতালিতে যথাযথ তদন্ত চলছে।