পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ছয় সেনা ও আট বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ আলী শওকতও রয়েছেন।
শনিবরা (৫ অক্টোবর) পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় শুক্রবার রাতে এই সংঘর্ষ হয়। সেনা অভিযানে ছয় বিদ্রোহী নিহত হন।
এছাড়া, একই প্রদেশের স্বাত জেলায় আরেকটি পৃথক অভিযানে দুই বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সম্প্রতি বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের গাড়িবহরে হামলায় জড়িত ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বলেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহসী সেনাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ৯৩০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তাকর্মী। এই সময়ে আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের একটি সামরিক চৌকিতে আত্মঘাতী হামলায় সাতজন নিরাপত্তা সদস্য প্রাণ হারান। ওই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, কয়েক বছর আগে তারা এই অঞ্চল বিদ্রোহীদের থেকে মুক্ত করেছে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে পাকিস্তানে তালেবান নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি তালেবান এবং আফগান তালেবান দুটি আলাদা গোষ্ঠী হলেও তাদের মধ্যে মিত্রতা রয়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তানি তালেবান দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে, বিশেষত উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে।