ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের খবরে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা দেশগুলো। এরই মধ্যে কিছু উত্তর কোরীয় সেনা ইউক্রেনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ শেষ হলে আরও উত্তর কোরীয় সেনা ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে মোতায়েন হতে পারে।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জানিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং তাদের একটি অংশ এরই মধ্যে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে পৌঁছেছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার এই বাহিনী দ্রুতই যুদ্ধে অংশ নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবার এই সেনা মোতায়েনের খবর প্রকাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে সজাগ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ন্যাটো সদর দপ্তরে তাদের মিত্রদের এই সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অবহিত করেছে। ন্যাটো সদস্যরা আশা করছে, দক্ষিণ কোরিয়া হয়তো তাদের প্রচলিত নীতি বদলে এবার সরাসরি সামরিক সহায়তা দিতে পারে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রাশিয়ার জন্য এই উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনী কতটা কার্যকর হবে। কারণ, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বহুদিন ধরে সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া ভাষাগত বাধাও তাদের সামরিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।