পার্শ্ববর্তী রাজ্য সিকিমসহ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে চলছে টানা বৃষ্টিপাত। গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ভারী বৃষ্টিতে পানি বাড়ছে বিভিন্ন নদীতে। শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ ভয়ংকর রূপ ধারণ করে তিস্তা। ডুয়ার্স, কালিম্পং, ক্রান্তি থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ফুলে-ফেঁপে উঠেছে খরস্রোতা এই নদী।
এছাড়া জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নন্দনপুর বোয়ালমারী এলাকায়ও তিস্তার পানি ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে গজলডোবা ব্যারেজ থেকে দফার দফায় পানি ছাড়া হচ্ছে। সেখান থেকে এরই মধ্যে অন্তত ৪ হাজার ৮৭০ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ময়নাগুড়ি দোমোহনি, মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
তিস্তার পানির স্তর বাড়ায় উত্তরবঙ্গের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোতে মানুষদের সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে যেতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৈরি রাখা হয়েছে এনডিআরএফ বাহিনীকে।